বোলপুরে এক তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তার জেরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে বোলপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রজতপুরের বাসিন্দা ওই তরুণীর বাবা ভ্যানচালক। রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েত থেকে বাড়ি তৈরির জন্য অনুদান পেয়েছিলেন তিনি। বাড়ি তৈরির কাজ করছিল রাজমিস্ত্রি শেখ হাফিজুল। অভিযোগ, স্নানঘরে ওই তরুণীর অশ্লীল ছবি লুকিয়ে তুলেছিল হাফিজুল। সেটি সবাইকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযোগকারিণীর পরিজনদের দাবি, সম্মানহানির আশঙ্কায় সোমবার গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
সোমবার রাতে ওই তরুণীর বাড়ির লোক বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শেখ হাফিজুলকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। বুধবার তাকে বোলপুর আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম মণিকুন্তলা রায় অভিযুক্তকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান। সরকারি আইনজীবী ফিরোজ কুমার পাল জানান, ১৬ ডিসেম্বর ফের তাকে আদালতে পেশ করা হবে।
তথ্যঃ ও ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]