গালে তিরঙ্গার ছাপ,
হাতে নিয়ে পতাকা,
“প্রজাতন্ত্র দিবস “নামক উৎসবে ,
সবাইকে নিয়ে মেতে থাকা।
জনগন নাকি ঠিক করবে,
কে হবে তাদের হর্তা ,কর্তা, বিধাতা
সাতষট্টিতে ভারত বুড়ো কি পাই, সন্তানদের প্রেম,বার্ধক্য ভাতা?
“প্রজাতন্ত্র “এক অলীক কল্পনা,
যেন সোনার পাথরবাটি,
নেতা মন্ত্রীদের জন্য শাঁসালো আম,
জনগন চোষে পড়ে থাকা আঁটি।
পাঁচ বছর পর নির্বাচন,
সবই গণতন্ত্রের জয়
লঙ্কায় যে যাই সে’ই হয় রাবন,
তাইতো লাগে ভয়।
বাক স্বাধীনতার অধিকার,
পাই কী আমরা সবাই?
চোর কে এখন চোর বলতে,
প্রত্যেকে ভয় পাই।
গণতন্ত্রের আজব চেহারা ,
দেখছে এখন দেশ
বিরোধিতা মানেই তুমি “দেশ বিদ্বেষী”,
ঘুসে ,কালো টাকায় মেতে আছো বেশ।
সৈনিক আজ প্রাতঃরাশে পাই,
ঝলসানো পোড়া রুটি,
রাষ্ট্র পারে না খাবার জোটাতে,
শুধু শুনি যুদ্ধের ভ্রূকুটি।
সংরক্ষনের বেড়াজালে ,
বন্দী আজও সমাজ,
ভোট এখন বড়োই বালাই,
সব দেখে শুনে চুপ মহারাজ।
উৎসব আর অনুষ্ঠানে ,
বেশ কেটে যাই দিন,
বাড়ছে বাড়ুক ঋণের বোঝা,
নবান্ন চিন্তাহীন।
নারীরা এখনও বৈষম্যের শিকার,
পরিবার ,অফিস ,রাস্তায়
ঘরের বোনের “দাদা “আমরা শুধু,
বাসে ,ট্রেনে ,ভিড়ে দেহ ছুঁয়ে মজা পাই।
সবাই নাকি গরীবের কথা ভাবে,
মুখে গণতন্ত্রের ফাঁকা বুলি
নিত্য নতুন মোচ্ছবের আনন্দে,
আমরা জনগণ সবই ভুলি।
জাতীয় সঙ্গীত বাহান্ন সেকেন্ড ,
রক্ত গরম করে,
চাকরিটা দাদা পেতে হবে আমায়,
একে, ওকে, তাকে ধরে।
এই যা লিখছি, এই যা বলছি ,
সবই গণতন্ত্রের বল
গণতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ুক চারিদিকে,
প্রত্যেকেই পাক তার সুফল।
কাবু মন্ডল
26/1/2017
সকলকেই জানাই” প্রজাতন্ত্র দিবসের” শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।