বীরভুম ১ জুলাইঃ- জানাজার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। কবর খোঁড়ার কাজ শুরু হবে। চারিদিকে আত্মীয় নিকট পরিজনদের কান্নার রোল। ঠিক তখনই ঘটলো প্রান ফিরে পেলেন সাপে কাটা এক মৃত গৃহবধু। এমনই দাবি করা হল মৃত দেহের কাছে বসে থাকা পরিজনদের পক্ষ থেকে। তৎক্ষণাৎ ওই হাসপাতাল ফেরত মৃত গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হল এক গুনিনের কাছে। যদিও সেই গুনিন জানালেন মৃতদেহে আর কোন প্রানের সঞ্চার নেই। বহু সময় আগেই মারা গিয়েছেন ওই মহিলা।
বীরভুমের মহম্মদ বাজার থানার ভারকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রামের বেলতলা পাড়ার বাসিন্দা গৃহবধু হারানুর বিবি (৪৫)। শক্রবার গভীর রাত্রে নিজের বাড়িতে গোখরো সাপের ছোবল খান দুইবার ঘুমন্ত অবস্থায়। স্বামী জালাল শেখ সহ পরিবারের লোকজন তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলেই ওই গৃহ বধু মারা যান। সেই মতো ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে শবিবার তার মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়া হয়। বেলা ১১ টা নাগাদ গ্রামের বাড়িতে মৃত দেহ নিয়ে আসা হয়। তার পর মৃতদেহ সৎকারের কাজ কর্ম শুরু করা হয়। ঠিক এই সময় মৃতদেহের পাশে বসে থাকা নিকট পরিজনেরা দাবি করতে লাগলেন হারানুর বিবির পা নড়ছে, চোখ মিলে দেখছে, মুখে জল দিলে সে কিনা খেয়ে ফেলেছে। বন্ধ করে দেওয়া হল মৃতদেহ সৎকারের পর্ব। আর এর পরেই সেই মৃত দেহ কে নিয়ে যাওয়া হল সাঁইথিয়ার কোন এক গুনিনের কাছে। যদি মৃতকে ফিরিয়ে নিয়ে নিয়ে আসা যায়। যদিও সেখানে সেই গুনিন জানিয়ে দেন ওই মহিলা আর বেঁচে নেই বহু সময় আগেই মারা গিয়েছেন। ফের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে এসে বিকেলে সৎকার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল্লা শেখ, পকেট শেখরা বলেন হঠাত একটা গুজব উঠে গেলো সাপে কাটা ওই মৃত মহিলার বেঁচে গিয়েছে। সৎকার বন্ধ করে তাকে গুনিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় যদিও গুনিন জানায় আগেই মারা গিয়েছে। শুরু মাত্র কুসংস্কার বশত এই ঘটনা ঘটেছে।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]