আজ থেকে মাস খানেক আগের ঘটনা। একদিন রাত্রে নাকি হঠাৎ স্বপ্নাদেশ পান রাজেন্দ্র তন্তুবায় নামে এক ব্যাক্তি, যে মা তাকে পুজো করার আদেশ দিচ্ছেন। সেই মতো তিনি তার দেখা স্বপ্নের কথা জানান পরিচিত রবীন্দ্রনাথ পণ্ডিত, শক্তিপদ গড়াইদের। পরবর্তীকালে তারাই ঠিক করেন যে এই বছর বাসন্তী পুজো করবেন। আর তখনই শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। তাই বেশ জাঁকজমক ভাবে সদাইপুর থানার তাপাসপুর গ্রামে প্রথম বাসন্তী পুজো অনুষ্ঠিত হল। পুজোর খরচের যোগান অবশ্য গ্রামবাসীরা দিতে ইচ্ছুক থাকলেও রাজেন্দ্রবাবু তাতে নারাজ। তবে তিনি তাঁর পাশে পেয়েছেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শক্তিপদ গড়াই, গৌড়সুন্দর মন্ডল, সুকুমার, বিনয় সহ আরও অনেককে। যারা রাজেন্দ্রবাবুর পুজোয় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এলাকার বাসিন্দা গৌড়সুন্দর মন্ডল জানালেন, রাজেন্দ্রবাবু আগে এই গ্রামে থাকতেন। এখন উনি এখানকার বাসিন্দা না হলেও স্বপ্নাদেশের কথা শুনে আমরা উনার কাছে পুজো করার ইচ্ছা প্রকাশ করি। আর রাজেন্দ্রবাবু প্রধান উদ্যোগ নিলেও সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় এই পুজো অনুষ্ঠিত হল। গ্রামে অনান্য পুজোর প্রচলন থাকলেও বাসন্তী পুজো এই প্রথম হওয়ায় বেশ ভাল লাগছে। মায়ের স্বপ্নাদেশে পুজো হওয়ায় গ্রামবাসীও খুব খুশি।
আর তিনি আর্থিক দিক দিয়ে খুব একটা স্বচ্ছল না হলেও যে শুধুমাত্র মায়ের আদেশ পেলে প্রতিবছর এই পুজো চালিয়ে যাবেন রাজেন্দ্রবাবু তা জানিয়ে দিলেন।
ভিডিও ও তথ্যঃ গৌড় চক্রবর্তী।