বীরভূম ১ জুলাইঃ- সাগর ঘোষ খুনের মামলায় তৎকালীন পাড়ুই থানার ওসি খুনের ঘটনা স্থল গিয়ে ছিলেন কিনা মনে করতে পারলেন না। শনিবার সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক সুপ্রতিম ভট্টাচার্জের এজলাসে ওসি সম্পদ মুখার্জী সহ আরো দুই পুলিশ কর্মীর সাক্ষ্য দান ছিল। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবি আদ্যনাথ চ্যাটার্জী ওসিকে প্রশ্ন করেন সাগর ঘোষ খুনের ঘটনার পর ঘটনাস্থল গিয়েছিলেন কিনা তিনি তার উত্তরে জানান গিয়েছিলাম কিনা সেটা খেয়াল পড়ছে না। কারন ঘটনার পরদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল। এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের মতো গুরুত্বপুর্ন কাজের দায়িত্ব ছিল পাশাপাশি এলাকা জুড়ে নিজে টহল দিয়ে নিরাপত্তার কাজ তদারকি করেছি। ঘটনার পর সরস্বতী ঘোষ আমার কাছে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ও আমি ঘটনার তদন্ত ভার পুলিশ কর্মী দ্বিজরাজ সাহানার হাতে তুলে দিই। তাই আমি নিজে ঘটনাস্থল গিয়েছিলাম কিনা সেটা মনে করতে পারছি না।
প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ২১ জুলাই রাত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাঁধ নবগ্রামে নিজের বাড়িতে দুস্কৃতির গুলিতে খুন হন কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতর নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ। ঘটনায় ২৩ জুলাই পাড়ুই থানায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার মোট ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ইতিমধ্যেই সরকারী আইনজীবির জেরা হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবির জেরা এখন চলছে। তাতে এখনো পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্যের জেরা হয়েছে। বাকি ১২ জনের ২১,২৪ এবং ২৫ জুলাই জেরা হবে বলে আদালত সুত্রে জানা গিয়েছে। সিউড়ি আদালতের সরকারী আইনজীবি রঞ্জিত গাঙ্গুলী বলেন, এদিন পাড়ুই থানার তৎকালীন ওসির সাক্ষ্য দান ছিল। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবির প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান খুনের ঘটনা স্থল গিয়েছিলাম কিনা সেটা মনে করতে পারছি না।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]