Home » জেলার খবর » সিউড়ি সংশোধনাগারে ৩০ মিনিটের নাটক ‘নেশা’

সিউড়ি সংশোধনাগারে ৩০ মিনিটের নাটক ‘নেশা’

সিউড়ি সংশোধনাগারে ৩০ মিনিটের নাটক ‘নেশা’দিনের পর দিন বেড়েই চলা মাদকাসক্ত কয়েদীর জন্য সমস্যায় বীরভূমের সিউড়ির সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। মাদকাসক্ত থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজের মূলস্রোতে জীবনযাপন করতে পারে তার জন্য স্বাধীনতা দিবসের দিন বন্দি কয়েদিদের সামনে নাটক “নেশা” পরিবেশন করা হলো। পাশাপাশি সংশোধনাগারের বাইরে মাদকাসক্তদের স্থায়ী কাউন্সেলিং কেন্দ্র করার দাবি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের।বীরভূমের সিউড়ির শতাব্দী প্রাচীন সংশোধোনাগার। বর্তমানে মাদকাসক্ত কয়েদি নিয়ে সমস্যায় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এখন প্রায় ৫০ জন মাদকাসক্ত বিচারাধীন কয়েদি আছে এখানে। আর এই সংখ্যা বিগত ৬ মাসে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে বলে সংশোধোনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে। মাদকাশক্তরা সংশোধোনাগারে আসার পর থেকে মাদক না পেয়ে অস্বাভাবিক আচরন শুরু করে। অসুস্থও হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে সেই মাদকাশক্তকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। মাদকাসক্তদের চিকিৎসার সেই পরকাঠামো না থাকায় সেই রোগীকে বর্ধমান মেড্যিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোয় হয়। সেই রোগী কে সাময়িক সুস্থ করে ফের সংশোধোনাগারে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে চলে তার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাউন্সেলিং। কিন্তু সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়ে বাইরে গিয়ে ফের তারা মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। অনেকে তো আবার দুই তিন মাস অন্তর সংশোধনাগারে আসে। মুলত অনেকে মাদকের টাকা যোগাড়ের জন্য চুরি,ছিনতাই করে। আর পুলিশের হাতে ধরে পরে তাঁদের ঠায় হয় সংশোধনাগারে। পাঁড়ুই, দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, খয়রাসোল থানা এলাকা থেকে এই মাদকাসক্ত বেশী আসে। এরা মুলত ব্রাউন সুগার এবং এক ধরনের আঠা ব্যবহার করে নেশার জন্য। সংশোধোনাগারে যে কাউন্সসেলিং করা হয় তা পর্যাপ্ত নয়। এর সঙ্গে মাদক মুক্তির চিকিৎসাও ব্যায় সাপেক্ষ। ফলে অনেক পরিবার সেই চিকিৎসা করাতে পারে না। বীরভূম সাংস্কৃতিক বাহিনী এদিন কয়েদীদের সামনে নেশা কিভাবে মানুষের জীবনে অভিশাপ ডেকে আনে তা দেখানোর জন্য নাটকটি পরিবেশন করবে। যদিও কোনো মঞ্চ করে নয়, কয়েদির মাঝে বসে ৩০ মিনিটের “নেশা” নাটকটি হয়। সিউড়ি সংশোধনাগারের জেলার আব্দুল্লাহ কামাল বলেন, আমাদের যুবসমাজের এখন একটা মূল সমস্যা হল নেশা। নেশার টাকার জোগাড় করতে গিয়ে তারা চুরি ছিনতায় করে পুলিশের কাছে ধরা পরে এখানে আসছে। আমরা নিজেরায় চেষ্টা করি কাউন্সেলিং করে সুস্থ করার। কিন্তু এখান থেকে বাইরে বেড়িয়ে যাওয়ার পর সেই একই ভাবে তারা নেশা শুরু করে। তাই স্থায়ী ভাবে বাইরে কাউন্সেলিং কেন্দ্র করার প্রয়োজন। যাতে নেশাড়ুরা আর নেশা না শুরু করে।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
ভিডিও প্রহ্লাদ সাহা
[uam_ad id=”3726″]

Comments