একটি ক্লাবের কর্মকর্তারা বেধড়ক মারধোর করল সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিকদের। কেড়ে নেওয়া হল ক্যামরাও। থানার খোদ আই , সি গিয়েও উদ্ধার করতে পারলেন না সেই ক্যামেরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। ওই এলাকার একটি ক্লাবের নির্মীয়মাণ পুজো মন্ডপে কয়েকটি বাচ্চা ছেলে দুষ্টুমি করছিল বলে কর্মকর্তারা নাকি তাদের জোর করে মাথা ন্যাড়া করছিলেন।চূড়ান্ত অমানবিক সেই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক অক্ষয় ধীবর এবং প্রীতম দাস। এছাড়াও ছিলেন সাংবাদিক অঞ্জন দে। তারা কেন বাচ্চাদের ন্যাড়া করছেন তা জিজ্ঞাসা করতেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন ক্লাব কর্তারা। বলেন , ওরা মন্ডপে উঠে নেশা করছিল , সেইজন্য উচিত শিক্ষা দিতেই ন্যাড়া করা হচ্ছে। প্রত্যুত্তরে সাংবাদিক বলেন , তার জন্য পুলিশ -প্রশাসন আছে , ওদের বাবা- মা আছেন, তাদের না জানিয়ে এভাবে আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না ! আর যায় কোথাই ? খিস্তি খেউরের বন্যা বয়ে যায়।পাড়ার মহিলাদেরও লেলিয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে বেশ কিছু পুলিশ সহ রামপুরহাট থানার দুই পুলিশ অফিসার পৌঁছোন ঘটনাস্থলে। তাদের সামনেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধোর শুরু হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পোশাক। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরাও। খবর পেয়ে অন্যান্য সাংবাদিকরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হন। রাত্রি ১১ পর্যন্ত বিধ্বস্ত সাংবাদিককে আটকে রাখা হয় ক্লাবঘরে।তারপর আই, সি গিয়ে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির মামলা দায়েরের আশ্বাস দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাকে।
রাত্রেই তাঁদের ভর্তি করা হাসপাতালে। আজ তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
[uam_ad id=”3726″]