বীরভূম ৩০ জুলাইঃ- সহপাঠীকে নৃশংভাবে মারধোর এবং অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার তিন জন বেসরকারী ইঞ্জিয়ারিং পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানার লম্বোদরপুর গ্রামে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আক্রান্ত ছাত্রটি সিউড়ি সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও অভিযুক্তরা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আদালত সুত্রে জানা গিয়েছে ধৃতেরা হলো সুদীপ্ত বিশ্বাস, সুজয় দাস এবং সৌরভ মারিক। তাঁদের এদিন সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক সুপ্রিয়া খান ১২ দিনের জেল হেফাতজের নির্দেশ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অরিজিত ঘোষ নামে এক ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রকে ব্যাপক মারধোরের করার। অভিজিতের বাড়ি বর্ধমান পুর্ব জেলার কাটোয়ায়। গত শুক্রবার আক্রান্ত ছাত্র কলেজে তার পরীক্ষার রেজাল্ট নিতে এসেছিল। ওই দিন কলেজ থেকে অভিযুক্তদের মেসে গিয়ে ওঠে আক্রান্ত ছাত্র। তার পর থেকেই অভিজিতের উপ নৃশংস শারীরিক নির্জাতন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আক্রান্ত ওই ছাত্রের দাবি মেসে যাওয়ার পর থেকেই তিন জন মিলে আমার উপর অত্যাচার শুরু করে। কাঁচি দিয়ে গোটা শরীরে কেটে দেওয়া হয়েছে। তার পর ক্ষত স্থানে লঙ্কা গুড়ো ও লবন মাখিয়ে দেওয়া হয়। মুখে গামছা গুজে গলাতে বেল্টের ফাঁস দিয়ে শ্বাস রোধের চেষ্টা করা হয়। এর সঙ্গে ওই রাত্রে নগ্ন করে ওই মেসের ছাদে ঘোরানোর সঙ্গে লাঠি দিয়েও মারা হয়। শারীরিক অত্যাচারের জেরে শনিবার সকাল থেকেই সেই অচেতন ছিল। ওই দিন সন্ধায় কোন ভাবে আক্রান্ত ছাত্রের সহপাঠীরা খবর পেয়ে মেস থেকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সিউড়ি থানায় ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত। পরে তাঁদেরকে মেস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিউড়ি আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী অসিম দাস বলেন, ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রটি রেজাল্ট নিতে এসে অভিজুক্তদের মেসে উঠেছিল। তার পর তার উপর শুক্রবার বেলা থেকে সারাদিন ও রাত্রীতেও অত্যাচার করে অভিযুক্তরা। ঘটনায় বিচারক আগামি ৫ আগস্টের মধ্যে কেস ডায়েরি ও ইঞ্জুরী রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলেছেন ও আগামি ১১ আগস্ট অভিযুক্তদের ফের কোর্টে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]