যানজটের দুর্দশা ঘুচতে চলেছে সাঁইথিয়াবাসীর। শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সাঁইথিয়ার রেলসেতু নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিল রেলমন্ত্রক। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে দেওয়া অনুমোদনের সেই চিঠি এসে পৌঁছাল সাঁইথিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান বিপ্লব দত্তের হাতে। একইসঙ্গে পৌরসভার দাবি মেনে রেলের পূর্বপ্রান্তে আরও একটি টিকিট কাউন্টার করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “গত অগাস্ট মাসে আমরা রেলমন্ত্রকের কাছে লিখিতভাবে সাঁইথিয়া শহরের এই দাবি তুলে ধরেছিলাম। পূর্বরেলের জেনেরাল ম্যানেজার হরেন্দ্র রাও চিঠি দিয়ে সাঁইথিয়ার সঙ্গে জেলার রেলের উন্নয়নের দাবি অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন।”
সাঁইথিয়ার পৌরপ্রধান বিপ্লব দত্ত বলেন, “পূর্বরেলের লাইন সাঁইথিয়া শহরকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। যার যোগাযোগের সেতু একমাত্র ওই রেলসেতু। সেটির সম্প্রসারণের খবর আসায় আমরা আনন্দিত। দীর্ঘদিনের আমাদের দাবি মানতে বাধ্য হয়েছে রেলমন্ত্রক। এতে শহরের প্রাণ ফিরবে।”
ষাট হাজার মানুষের বসবাস বাণিজ্য নগর সাঁইথিয়াতে। কিন্তু সতীপীঠের সঙ্গে মূল শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রেলসেতু। যেটি ২০১০ সালের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জনসংখ্যার সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়লেও সেতুর সম্প্রসারণ হয়নি। বারবার আবেদন, অনুরোধ সত্ত্বেও আগের রেলমন্ত্রক কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। সাঁইথিয়া পৌরসভায় আসা চিঠিতে এবার সেতু সম্প্রসারণের অনুমোদনের কথা জানিয়েছে রেল দপ্তরের পূর্বরেলের ম্যানেজার।
একইসঙ্গে রেল দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিদিন সাঁইথিয়া স্টেশন থেকে গড়ে সাড়ে তিন হাজার টিকিট বিক্রি হয়। যা সামাল দিতে সকালে তিনটে, দুপুরে দুটো ও রাত্রে একটা করে টিকিট কাউন্টার খুলে রাখতে হয়। কিন্তু হাজারের বেশি টিকিট হলে বাড়তি একটি কাউন্টার খোলা দরকার। সেক্ষেত্রে স্টেশনের শেষ প্রান্তে একটি বাড়তি টিকিট কাউন্টার খোলার ভাবনা অনুমোদন পেয়েছে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু শহরবাসীর দাবি, নন্দীকেশ্বরী তলার দিকে যদি সেই কাউন্টার করা যায় তাহলে যাত্রীদের খুব সুবিধা হয়। কিন্তু সেখানেই করা হবে কি না সেই নিয়ে স্পষ্ট কোনও উল্লেখ নেই চিঠিতে। তবে প্রায় শতবর্ষ পুরানো সেতু ফের সম্প্রসারণ করে তার সংস্কার হবে এই খবরেই খুশি শহরবাসী।
তথ্যঃ এনাডু ইন্ডিয়া
[uam_ad id=”3726″]