পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজে আত্মঘাতি হওয়ার চেষ্টা এক ব্যাক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম সিউড়ি শহরের অরবিন্দপল্লীতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও মেয়ে সিউড়ি সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে চিনপাই গ্রামে এক স্কুল ছাত্রী ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতি হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে সিউড়ি শহরের অরবিন্দপল্লীর বাসিন্দা সমরেন্দ্র মন্ডল ও তার প্রতিবন্ধী মেয়ে শম্পা মন্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সমরেন্দ্র মন্ডল পেষায় রাজ মিস্ত্রি এবং চার মেয়ের বড় মেয়ে শম্পা প্রতিবন্ধী হওয়াই তার বিয়ে হয়নি বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গিয়েছে। বাকি তিন মেয়ের সকলেই বিবাহিত। ছেলে নারু মন্ডল দাবি করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে মা ভবানী মন্ডলের সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল টাকা পয়সা নিয়ে। আমার এক দিদি আমাকে বাবা ও দিদির বিষ খওয়ার কথা জানায়। বাবা ভেবেছিল নিজে মারা গেলে মেয়ের কি হবে তাই দিদিকেও বিষ খাইয়ে দিয়েছে। শনিবার গভীর রাত্রে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে’’। অন্যদিকে চিনপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী কেকা খাতুন(১৪) পরিবারের বকুনী খেয়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় শুক্রবার রাত্রে। পরিবারের লোকজন মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]