বীরভূমের বিভিন্ন স্থান থেকে বহুছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন এই কলেজের। এই রকম একটা প্রস্তাবের সমর্থন থাকলে অবশ্যই শেয়ার করুন, ট্যুইট করুন।
সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবের সমাপ্তি হবে আগামী মার্চ মাসে। ওই উৎসবের উদ্ধোধনের দিন ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখপাধ্যায় ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। প্রণববাবু ও মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধা মতো দিনেই উৎসবের সূচনার দিন স্থির করা হবে বলে কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই সময়ে ওই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নত করার প্রস্তাব জানানো হবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বোলপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। তাতে বিদ্যসাগর কলেজ নিয়ে উৎসাহ হারিয়েছেন সিউড়ির অনেকেই। কিন্তু ওই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ লক্ষ্মীনারায়ন মন্ডল ও বর্তমান অধ্যক্ষ তপন পারিচ্ছা বলেছেন, ‘আমারা আশাহত নই। আমরা জেনেছি বোলপুরে অন্য ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তাই এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নিত করতে কোন অসুবিধা হওয়ার কারন নেই।’ তাঁরাই জানান, সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ভৌগলিক সীমা অনুযায়ী কাছাকাছি বীরভূম, দুর্গাপুর, ও ঝাড়খণ্ডে অন্তত ১০টি কলেজ রয়েছে।
ওই কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে ৯একর জায়গার উপরে গড়ে ওঠা ওই কলেজে ৭টি দ্বিতল বিল্ডিং রয়েছে পঠন পাঠনের জন্য। ছাত্র ও ছাত্রীদের
দুটি আবাস রয়েছে। প্রয়োজনিয় ল্যাবরেটরি, বাস্কেট ও ভলিবল খেলার মাঠ রয়েছে কলেজ ছত্তরে। আরও কিছু ফাঁকা জায়গা পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ক্ষেত্রে পরিকাঠামো যথেষ্ঠ রয়েছে।
ওই কলেজেই জেলায় প্রথম ন্যাক পরিদর্শন করে। ২০০৫ সালে ন্যাকের পর্যবেক্ষনে ওই কলেজ বি+ পেয়েছে। ফের গত নভেম্বর মাসে ন্যাক ওই কলেজকে বি++ গ্রেড দিয়েছে।
ওই কলেজে প্রনববাবু ছাড়াও প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় , রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য করুণা সিন্ধু দাস, প্রাক্তন উপাচার্য রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক দেবরঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ পড়াশুনা করেছেন। ওই কলেজের ৫৫ জন প্রাক্তন ছাত্র রাজ্যের বিভি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য; ওই কলেজকে লীড কলেজ হিসাবে উন্নত করার জন্য গত ২০০৪ সালে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজকে জানিয়েছিল বলে তৎকালীন কলেজ অধ্যক্ষ লক্ষ্মীনারায়ন বাবু জানিয়েছেন। পরে অবশ্য ওই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। ওই কলেজে প্রনববাবু পড়ার সময়ে বাংলার অধ্যাপক ছিলেন প্রয়াত দেবরঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তিনি তাঁর ছাত্রকে ওই কলেজের এক অনুষ্ঠানে দেখে ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ওই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নত করার জন্য হাতে ধরে অনুরোধ করেছিলেন বলে কলেজ কতৃপক্ষ ও দেবরঞ্জন বাবুর ছেলে সিউড়ি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
★সংবাদটি ১৯ শে জানুয়ারির আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সংগৃহীত।