উন্নয়নে বাধা দিলে ঝান্ডা থাকবে না, মুশকিলে পড়ে যাবেন, ছেড়ে কথা বলবো না, বিজেপিকে হুমকি অনুব্রতর। শনিবার বীরভূমের রামপুরহাট-২ ব্লকে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। ইতি মধ্যেই তৃনমূলের তরফে প্রতিটি ব্লক এলাকায় জনসভা করা শুরু করেছে তৃনমূল। রামপুরহাটে এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, মন্ত্রী আশীষ বন্দোয়াপধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মাল, তৃনমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিত সিংহ, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও দলীয় কর্মী সমর্থকরা। এদিনের বক্তব্যে অনুব্রত মণ্ডল প্রথম থেকেই বিজেপিকে লক্ষ করে আক্রমণ শুরু করেন। তার দলের কর্মীরা তার কাছে অভিযোগ করেন বিজেপি উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে বলে তার দাবী। সেই কথা ধরেই প্রথম থেকে অনুব্রত মণ্ডল বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “বিজেপিরা নাকি উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। বাধা দেবেন না। বাধা দিলে মুশকিলে পড়ে যাবেন। তৃনমূল কংগ্রেস কিছু বলবে না। সাধারন মানুষ কিন্তু ছাড়বে না। বাধা দিলে ঝান্ডা থাকবে না। উন্নয়নে বাধা দিলে কিন্তু শুনবো না, ছেড়ে কথা বলবো না। ৩৪ বছরে বামেরা এবং ৭২ বছরে কংগ্রেস কোনও উন্নয়ন করে নি। আপনারা সবে এসেছেন ২০১৪ সালে। আগে উন্নয়ন করুন। বড় বড় বাত মারবেন না। যেখানে বাত মারার সেখানে গিয়ে মারুন। বিদেশে গিয়ে বাত মারুন। ভারতবর্ষে আগে কিছু উন্নয়ন করে দেখান। সাধুবাদ জানাবো। এখনও কোনও উন্নয়ন করে নি, এখনও গরিব মানুষের কাজে লাগে নি, এখনও কৃষকের কাজে লাগে নি।” বিজেপিকে আরো কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপিরা হল পোষা পায়রার মতো। সকালে ছেড়ে দেয় আবার রাতে এসে খাচায় ঢুকে যায়। প্রকৃতি আর মানুষ সম্পর্কে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। তারা কিছুই জানে না মানুষে পাশে কিভাবে থাকতে হয়।” ছারেন নি তিনি কংগ্রেসকেও। উল্লেখ্য এই এলাকায় কংগ্রেসের একটা বারবারন্ত আগে থেকেই ছিল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। সেই পরিস্থিতি এখন কিছুটা তৃনমূলের দিকে পাল্লা ভারি হলেও এদিনের সভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছারেন নি অনুব্রত। তিনি বলেন, “ওরাও বিজেপির মতো। ওদের লোক নাই জন নাই। জানিনা ওদের মুখে আগুন কে দেবে।”
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই সব সভা গুলির আয়োজন করছে বলে দাবী তৃনমূলের। তাই এদিনের সভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলায় তৃনমূল ফলাফল কি হবে নিজের চেনা শুরে সেই চ্যালেঞ্জও তিনি মঞ্চ থেকে ছুড়ে দিলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, “মানুষের পাশে থাকে এক মাত্র তৃনমূল। তাই আমি চ্যালেঞ্জ করলাম বীরভূমের ১৯টা পঞ্চায়েত সমিতি, ৪২টা জেলা পরিষদ এবং ১৬৭টা পঞ্চয়েতের আসনে সব কটিতে জয়ী হবে তৃনমূল। একটা সিটও কেউ পাবেন না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। কোনও মারামারি করে নয়। উন্নয়ন করে মানুষের পাশে থেকে এটা আমি করে দেখাবো।”
ছবি ও তথ্যঃ মায়া সালুই
[uam_ad id=”3726″]