বোন, জানিস তো ভালো লাগে তোর হাঁসি,
কিন্তু তোর বাড়ন্ত শরীর বড়োই সর্বনাশী।
ছাড়তে পারিনা তোকে ,রাস্তায় দুবেলা একলা,
আছে কত শয়তান ওত পেতে, চাই তোকে নিয়ে করতে খেলা।
যখন তুই দাদা বলিস,মনে জাগে অহংকার,
এই সমাজে তোর সম্ভ্রম রাখতে পারব কী?
বড়ো ভয় হয় আমার।
সেইদিনও আমরা খেলতাম দুজনে, চোর -পুলিশ, পুতুল খেলা,
আমার চোখ হয়েছিল ছল-ছল,
বিয়ের পর বিদায় বেলা।
নতুন ঘর, নতুন সবাই ভেবেছিলাম, বরের আদর পাবি
কিন্তু লোভে ভরা শশুরবাড়িতে ছিল, নিত্য নতুন দাবি।
বাড়িতে এসে বলেছিলিস তুই, তোদের খুব মনে পড়ে,
সারা শরীরে তোর কালশিটে দাগ, রেখেছিলিস শাড়িতে আড়াল করে।
দাদার কাছে ছিল না কোনো ভরসা জাগানোর কথা,
বুক ভরা ছিল হাহাকার, আর শুধুই নীরব ব্যথা।
প্রাণটা দিয়ে দেখিয়ে দিলি, কেমন ছিল বরের বাড়ি,
এতো দিনের ভাই-বোনের সম্পর্কের ,করে দিলি আড়ি।
আজও তোদের দিতে পারি না ক্ষমতা,স্বাধীন ভাবে বাঁচার
আমার মতো অভাগা দাদাদের ,
আছে কী ভাইফোঁটা দেওয়ার অধিকার?
কাবু মন্ডল।