Home » জেলার খবর » জীবন থমকে হুমকির জেরে

জীবন থমকে হুমকির জেরে

ধর্ষণে অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত হয়ে লোক লাগিয়ে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ, ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ওই স্কুল ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া। প্রাইভেট টিউশনিও আতঙ্কে যেতে পারছে না সে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরে। ঘটনায় বাধ্য হয়ে নির্যাতিতার পরিবার ফের সাঁইথিয়া থানায় লিখত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযুক্তের পরিবার হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে স্কুল ছাত্রীর যাতে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে তারা সেটি দেখবে।
সাঁইথিয়া শহরের এক উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রাথমিক শিক্ষক তথা নাচের স্কুলের কর্নধার অভিজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গত ৯ এপ্রিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাইথিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রীর পরিবার। ঘটনার দিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বর্তমানে কোলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে মুক্ত। নির্যাতিতা ছাত্রীর গত মঙ্গলবার সাঁইথিয়া থানায় ফের অভিযোগ দায়ের করেন যে নির্যাতিতা স্কুল ও টিউশনি যাওয়া ও আসার সময় অভিযুক্ত ব্যাক্তি লোক লাগিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে ওই পড়ুয়া আতঙ্কে বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কার্যত অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে ওই পরিবারের। নির্যাতিতা ছাত্রীর দাদু বলেন, তখন সে বলে বিগত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমার নাতনী ওই নাচের স্কুলে ভর্তি হয়। এই বছরের মার্চ মাসে নাতনীর আচরনে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করি। তার পরে তাকে জোড় করে সবাই মিলে জিজ্ঞসা করতেই তার উপর ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা আমাদেরকে জানায়।, পূজোর আগে নাচের অনুষ্ঠানের জন্য অভিজিত স্কুলে ডাকে তাকে। সেই সময় নাচের স্কুলে কেও ছিলনা। সেই সুযোগে মাদক মিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খেতে দেয়। খওয়ার পর নাতনি অচেতন হয়ে পরে। তার পর তার অশ্লীল ছবি তুলে বারবার ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করে। আমরা ৯ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করি। সেই সময় আমার নাতনি না বালিকা ছিল। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতান করে। মাসখানের হল সে জামিনে মুক্ত হয়েছে। নাতনি স্কুল বা টিউশনি যাচ্ছে তখন লোক লাগিয়ে তাকে নানা ভীতি দেখানো হচ্ছে। সেটা করাচ্ছে ওই অভিযুক্ত। আগে গ্রেফতারের পর ওই অভিযুক্তের পরিবার মামলা তুলতে চাপ দিয়েছিল’। অভিযুক্তের মোবাইলে ফোন করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলেন, এটা একটা পারিবারিক বিষয় সংবাদ মাধ্যম কেনো নাক গলাচ্ছে, তবে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে সেটা ভিত্তিহীন। সাঁইথিয়া থানার ওসি সঞ্জয় শ্রীবাস্তব বলেন, ফের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ছাত্রটি যাতে পড়াশোনা ঠিক ভাবে চালাতে পারে পুলিশ সেটা দেখবে।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments