কেউবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন আবার কেউ দিন মজুর। বীরভূমের মহম্মদ বাজার বিদ্যুৎ দফতরের অধীনে ডেউচা গ্রামের এই রকম কয়েকটি দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের বিদ্যুতের বিল এসেছে ৫ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিলের কাগজ হাতে পেয়ে মাথায় হাত ওই সমস্ত দিন আনা দিন খায় পরিবারের। কিভাবে এত টাকা বিল পরিশোধ করবেন সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। যদিও তাঁদের বিল কোন বকেয়া নেয়, বিলও প্রদান করে আসছেন নিয়মিত। বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে বিষয়টির অভিযোগ পেলে তারা ক্ষতিয়ে দেখবেন।
ডেউচার বাগদি পাড়ার বাসিন্দা শ্যামল বাগদি। তাঁর বিল এসেছে তিন মাসে ৩৬ ৩৯৫ টাকা। তিনি পেষায় দিন মজুর। তাঁর আগে বিল এসেছিল ৯০০ টাকা। মহম্মদ বাজার পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য সমাধিশ বাগদি। পেষায় চাষি। তাঁর বিল এসেছে ২০৮১২ টাকা। রাজ মিস্ত্রির যোগাড়ের কাজ করেন সাগর বাগদি। তাঁর বিল ২১ ৮৮৯ টাকা। মিঠুন বাগদীর ১৩ ৬১৯, গনেশ হাজরার ৭২৫৮ টাকা তপন বাগদীর ৯০০০ টাকা নিত্য বাগদীর ১৫৫৩২ টাকা রবীন্দ্র নাথ বাগদীর ৪৬৮৫ টাকা এবং প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা ভিক্ষুক গামু হাজরা তাঁর বিল এসেছে ১৫৬৪ টাকা। কারোর বাড়িতে দুটি এলইডি বাল্ব, একটি বা দুটি ফ্যান। দুই একজনের বাড়িতে টিভি থাকলেও সেট টপ বক্স না থাকার সেই টিভিও এখন বন্ধ। তাই সামান্য বিদ্যুৎ সামগ্রী ব্যবহার করেও কি করে হাজার হাজার টাকা বিল এসেছে সেটা খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। এই সমস্ত দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার গুলির দাবি নিয়মিত তারা বিদ্যুতের বিল প্রদান করে এসেছে। কিন্তু এখন এত টাকার বিল কিভাবে এলো সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। ইতি মধ্যেই শ্যামল বাগদি মহম্মদ বাজার অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর বিলের পরিমান নিয়ে। যদিও বাকি পরিবারগুলি কি করবেন সে নিয়ে কুল কিনারা পাচ্ছেন না। শ্যামল বাগদি বলেন, আমার বাড়িতে দুটি করে এল ই ডি বাল্ব ও ফ্যান আছে। আগে তিন মাসে ৯০০ টাকা বিল দিয়েছি। এবার তিন মাসে এলো ৩৬৩৯৫ টাকা। দিন মজুর করে সংসার চলে। অত টাকা কিভাবে প্রদান করবো সেটা বুঝতে পারছি না। আমি অফিসে লিখিত জানিয়েছি। সাগর বাগদি, গনেশ হাজরা, নিত্য বাগদি রবীন্দ্র নাথ বাগদি রা বলেন, খেটে খাওয়া পরিবার আমরা। কোন ভাবে দিন গুজরান করি। ওই পরিমান বিদ্যুতের বিল কিভাবে দেবো সেটা বুঝে উঠতে পারছিনা। অবিলম্বে আমাদের সঠিক বিল দেওয়া হোক, যেটা আমরা দিতে পারবো।
ভিডিও পাপাই বাগদি
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]