সিউড়ি : ভদ্র মহিলার নাম চৈতালি চক্রবর্তী, বাড়ি বীরভূমের হেতমপুর এলাকার বাবুপাড়ায়। মানসিক দিক দিয়ে অল্প হলেও ক্ষতিগ্রস্ত। বাড়ি থেকে বহুবছর আগেই বাঁ পায়ে ঘা বা ক্ষত নিয়ে বিতাড়িত। এর আগেও বহুবার ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে, কখনো কখনো অনেকটা সুস্থও হয়েছিলেন, কিন্তু মানসিক অবস্থার স্থিরতা না থাকায় একটু সুস্থ হলেই পালিয়ে যেতেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু এবারে পালিয়ে যাওয়ায় একটু বেশিই সংক্রমন হয়ে পরে তাঁর ক্ষত পা টিতে। একেবারে পোকা, দুর্গন্ধ, পুরোপুরি অচলাবস্থায় আবার সে আশ্রয় নেয় হাসপাতালের সামনেই। কিন্তু বারবার এবং হাসপাতালে জ্বালাতনের চাপে কেউ ভর্তিও করেনি বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একটু তাচ্ছিল্য ভাব দেখিয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে আমাদের কাছে বারবার ফোন আসতে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে ইনার কিছু ব্যবস্থা করার জন্য। আমরা পরিস্থিতি দেখতে যায়, সেক্ষেত্রে আমরাও কিছু কুলকিনারা খুঁজে পায়নি। সঙ্গে সঙ্গে শরণাপন্ন হয় বীরভূম পুলিশের নিকট। সুরাহা বের করে দেন কর্তব্যরত ট্রাফিক অফিসার সুমন প্রামানিক মহাশয়। সেটা গত দুদিন আগের ঘটনা। তারপর আজ National human rights committee of India Birbhum District committee ও বীরভূম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় চৈতালি চক্রবর্তীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল এবং হাসপাতালের সুপার মহাশয় জানিয়ে ইনার চিকিৎসার বিষয়ে সমস্ত রকম সহযোগিতা তারা করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ National human rights committee of India Birbhum District committee এবং জেলা পুলিশকে।
ভিডিও – সোমনাথ দে
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]